সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। রোববার ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে পাকিস্তানিদের ১৭-০ গোলে হারিয়েছে লাল-সবুজরা। সিরাত জাহান স্বপ্না ৭ ও মার্জিয়া করেছেন ৪টি করে গোল।

দুই মাস আগে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।

গ্রুপপর্বের প্রথম জয়েই সেমিফাইনালে পা রাখল বাংলাদেশ। কেননা এই পাকিস্তানকে আগেরদিন ১২-০ গোলে হারিয়েছে নেপাল। তাতে পাকিস্তানিদের বিদায় নিশ্চিত। সেমির টিকিট পাওয়া নেপাল ও বাংলাদেশ গ্রুপপর্বের সেরা হতে পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে।

এদিন ম্যাচের তিন মিনিটের সময় এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের নেয়া ফ্রি-কিক পাকিস্তান গোলকিপার ঠেকানোর পর বল পোস্টে প্রতিহত হয়। তবে চার মিনিট পরই লিড নেয় বাংলাদেশ। পাকিস্তান বক্সে জটলার মধ্যে থেকে গোলের শুরুটা করেন মার্জিয়া।

এক মিনিট পর বাংলাদেশের আরও একটি শট রুখে দেন পাকিস্তান গোলকিপার। তবে ৯ মিনিটে মাথায় আর আটকে রাখতে পারেনি পাকিস্তানিরা। লাল-সবুজদের দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন মোসাম্মৎ সিরাত জাহান স্বপ্না। ১৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় আর দলের তিননম্বর গোল করেন মার্জিয়া। পরে দলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দিয়ে ২২তম মিনিটেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মার্জিয়া।

ঘড়ির কাঁটায় ম্যাচের বয়স ৩০ মিনিট ছুঁতেই ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের পাঁচনম্বর গোলটি করেন স্বপ্না। দুই মিনিট পর আবার এগিয়ে যায় লাল-সবুজরা। পেনাল্টি থেকে দলের ছয়নম্বর গোলটি করেন শিউলি আজিম। ৩৭ মিনিটে গোল করেন মিসরাত জানান। ৪৪ মিনিটে গোল করে প্রথমার্ধেই নিজের হ্যাটট্রিক আর দলের দুই হালি পূর্ণ করেন স্বপ্না।

প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানি মেয়েরা। বল ঠেকাতে ব্যস্ত থাকায় বাংলাদেশ রক্ষণে একবারও আক্রমণ করতে পারেনি দলটি। এই অর্ধের ৫৮ মিনিটে গোল করেন মোসাম্মৎ আঁখি খাতুন। ৬২ মিনিটে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন স্বপ্না। ৬৯ মিনিটে বাংলাদেশের ১১তম গোলটি করেন শিউলি আজিম।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে নিজের চতুর্থ ও দলের ডজন পূর্ণ করা গোলটি করেন মার্জিয়া। তিন মিনিট পর বাংলাদেশকে আরেকটি গোল এনে দেন স্বপ্না। পরের মিনিটেই অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ১৪তম গোলের স্কোরলাইন স্পর্শ করান শ্রীমতি কৃষ্ণরানি সরকার।

আর ৭৫তম মিনিটে দলের ১৫তম ও নিজের ষষ্ঠ গোলটি করেন স্বপ্না। ৮৭ মিনিটের গোল উৎসবে যোগ দেন তহুরা খাতুন। শেষে যোগ করা সময়ে পাকিস্তানের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন নিজের সপ্তম আর দলের ১৭তম গোল করা স্বপ্না