ইরাকি মডেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া তারকা তারা ফারেজকে বাগদাদে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ক্যাম্প সারাহ’য় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন এই সাবেক মিস বাগদাদ এবং মিস ইরাক প্রতিযোগিতার প্রথম রানার-আপ।
২২ বছর বয়সী বাগদাদের এই রূপসী মেয়েটির সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার ২৭ মিলিয়নেরও বেশি। ফারেজের হত্যাকারী কারা তা বলতে পারেনি বাগদাদ পুলিশ। কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে তাও জানা যায়নি।

তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ভক্তরা বলছেন, দুঃসাহসী সব ছবি পোস্ট করে ইরাকের সামাজিক মিডিয়ায় আলোচিত হন এই মডেল। ধর্মীয় মৌলবাদীরাই তাকে হত্যা করেছে। কারণ ইরাকে নারীদের স্বাধীনতাকে কোনোভাবে মেনে নিতে পারছে না। আর তিনি নারীদের প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।

ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, বাগদাদের রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন ফারেজ। এসময় দুজন ব্যক্তি এসে গুলি করে। পরে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। নিহত তারা ফারেজ ‘মিস বাগদাদ ছিলেন’।

ফারেজ নিজেও জানতেন, মৌলবাদীদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে আছেন তিনি। তাই ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, যারা আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, তাদের আমি ভয় পাই না, বরং আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণে যারা খুন করে, তাদের নিয়েই ভয়।

ইরাকের সাংসদ ফাইক আল-শেখ আলী মনে করেন, ফারেজ সম্ভবত ধর্মীয় মৌলবাদীদের হাতেই নিহত হয়েছেন।