সাকিব আল হাসান নেই, নেই তামিম ইকবাল। ইনজুরি নিয়ে খেলছেন মুশফিকুর রহীম এবং অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলের নিউক্লিয়াস যারা, তাদেরই অধিকাংশ নেই। এমন একটি দল নিয়েই এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেলো বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে শুরুতে পতন, মাঝে আবার উত্থান, শেষে পতন। বোলিংয়ে শুরুতে উত্থান, মাঝে পতন, শেষে আবার উত্থান। শেষটা উত্থান দিয়ে হলো বলেই এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ। শুক্রবারের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত। গতবারের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। বাংলাদেশ তাই পেল প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ। সর্বশেষ চার এশিয়া কাপের তিনবারই ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের ট্রফি অধরা থেকে যাওয়ার অসমাপ্ত গল্পটার বৃত্ত পূরণের সুযোগ আবার পেল মাশরাফির দল। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ একাধিকবার জিতলেও ছেলেদের ক্রিকেটে এখনো তিন বা এর বেশি দল খেলেছে এমন টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ২৪০ রানের জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান থমকে গেলো মাত্র ২০২ রানে। ওপেনার ইমাম-উল হক একাই লড়াই করলেন। তিনি খেলেছেন ৮৩ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। তবে বাংলাদেশের বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে এই ইনিংস আর খুব একটা কাজে লাগলো না। পাকিস্তানের পরাজয় ঠেকাতে পারেনি।