জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ আগস্ট ১২, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 858 বার
রংপুরে বাসচাপায় এক স্কুলছাত্র নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকাগুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
নিহত মো. জিয়ন বদরগঞ্জ উপজেলার নাগের হাটের মো. জাহেদুল ইসলামের ছেলে ও রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে দর্শনা এলাকার মেঘলা ছাত্রবাসে থেকে লেখাপড়া করতো।
স্কুল ছুটির পর বাইসাইকেল নিয়ে ছাত্রবাসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্র মো. জিয়ন। কিন্তু ফেরা হয়নি তার। দ্রুতগামী একটি মিনিবাসের চাপায় পথেই প্রাণ হারিয়েছে সে।
রোববার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করায় রাস্তার দু’ধারে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে উত্তরবঙ্গের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জিয়নের লাশ উদ্ধার করে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চালালে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে ১০ জন আহত হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা ৪টি গাড়ি ভাংচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
৩ ঘণ্টা অবরোধ থাকার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে স্কুল থেকে সাইকেলযোগে ছাত্রাবাসে ফিরছিল জিয়ন। এ সময় রংপুর থেকে গাইবান্ধাগামী একটি মিনিবাস পেছন থেকে তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় ২টি বাস ও একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে তরা। অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য নিয়ে গেলে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় রংপুর কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মোক্তারুল ইসলামসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
Leave a Reply