জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ আগস্ট ৯, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 579 বার
সাবেক র্যাব কর্মকর্তা হাসিনুর রহমানকে ডিবি পরিচয়ে তার পল্লবীর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগে বুধবার রাত ১টায় পল্লবী থানায় জিডি করা হয়েছে।
পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার এসআই শহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, নিখোঁজ র্যাব সদস্যের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছেন। তারা এ ঘটনায় জিডি করেন।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে তার ব্যক্তিগত পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে পল্লবীতে মিরপুর ডিওএইচএসের বাসার সামনে থেকে হাসিনুরকে তুলে নেওয়া হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
তবে হাসিনুরকে আটকের খবর অস্বীকার করেছে ডিবি।
এদিকে, খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সেখানে হাসিনুরের ব্যক্তিগত পিস্তল পেয়েছে পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করছে বলে জানান পল্লবী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
হাসিনুর রহমান ২০১০ সালে চট্টগ্রামে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার জের ধরে তাকে ওই সময় আটক করা হয়। পরে মাতৃবাহিনীতে ফেরত দেয়ার পর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
হাসিনুর রহমানের স্ত্রী শামীমা রহমানের অভিযোগ, রাত ১০ টা ২০ মিনিটের দিকে বাসার সামনে থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চার/পাঁচজন একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হাসিনুর রহমান চিৎকার করলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তারা হাসিনুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে পল্লবী থানায় গেলে এ সংক্রান্ত কোনো জিডি নেয়নি পুলিশ।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা হাসিনুর রহমানের ব্যবহৃত লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি উদ্ধার করেন।
সূত্র জানায়, হাসিনুর রহমানের শ্যালিকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই সময় তার শ্যালিকা হিজবুত তাহরীরের নারী ইউনিটের একজন শীর্ষস্থানীয় নেত্রী ছিলেন। ২০০৯ সালের অক্টোবরে হিজবুত তাহরীর নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র শিক্ষক ও হিজবুহ তাহরীরের উপদেষ্টা গোলাম মহিউদ্দিন গ্রেফতার হন। তার জবানবন্দী থেকেই হাসিনুর রহমানের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। তখন হাসিনুর রহমান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন। র্যাবের হাতে হিজবুত তাহরীরের বেশ কয়েকজন সদস্য আটক হওয়ার পর র্যাবও নিশ্চিত হয় হাসিনুর রহমানের সাথে হিজবুত তাহরীরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ২০১১ সালের প্রথম দিকে তাকে র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখায় ডেকে পাঠানো হয়। সেসময় গোয়েন্দা শাখার প্রধান ছিলেন লে. ক. জিয়াউল আহসান। তিনি সাংবাদিকদের কাছে হাসিনুর রহমানের হিজবুহ তাহরীর সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করে। এরপরেই তাকে র্যাব-৭ থেকে অব্যাহতি মাতৃবাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়।
Leave a Reply