রোববার কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে দুপুর সাড়ে ১২টায় বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। আর এ বিষয়টি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। তাঁকে সাংবাদিকদের সবগুলো প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময়ই হাসতে দেখা যায়। অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন তিনি।

এদিকে একটি দুর্ঘটনায় তিন জন শিক্ষার্থীদের মৃত্যু খবর জেনেও মন্ত্রীর হাসিমুখে জবাব দেওয়ায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। একজন মন্ত্রী এ খবর জানার পর কিভাবে হাসতে পারেন প্রশ্ন অনেকের।
বাংলা ভিশনের প্রধান বাতা সম্পাদক মোস্তফা ফিরোজ তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে মন্ত্রীকে হাসতে মানা করে। পদত্যাগ করতে বলেছেন।

তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

বেখবরঃ মাননীয় মন্ত্রী অনেক হয়েছে। এতো নির্লজ্জ হাসি হাসবেন না। শরীরে জ্বালা পোড়া হচ্ছে। রাতে ঘুমাতে পারবো কিনা জানিনা। ভালো হতো সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি প্রথম খবর পেতাম যে আপনার গদি উল্টে গেছে। তাহলে শান্তি পেতাম একটু।
দয়া করে পদত্যাগ করে দায় মুক্তি নেয়ার চেষ্টা করেন। আর ভুলেও ভারতের কথা টেনে এনে নিজেকে হাস্যরসে পরিণত করবেন না। আপনি ভারতে জন্মালে মন্ত্রীতো দূরে থাক কোন মন্ত্রীর দপ্তরের পিওন হতে পারতেন কিনা সন্দেহ আছে। একের পর এক নির্মম মৃত্যু ঘটছে। তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। উল্টো যারা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে তাদের উপরে দায় চাপানো হচ্ছে। একটি তরুণ তাজা প্রাণকে বাস থেকে ছুঁড়ে পানিতে ফেলে দেয়া হলো। এর রেশ না কাটতেই উত্তরায় দুই শিক্ষার্থীর উপরে বাস উঠিয়ে হত্যা করা হলো। এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেই চলেছে। অথচ নির্বিকার নৌ পরিবহন মন্ত্রী। যিনি সড়ক পরিবহনের আসল নেতা। তার কাছে সরকার জনগণ সবাই জিম্মি। এই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি হবে কবে?