দুই দশকের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল ফ্রান্স।ফ্রান্সের অভিজ্ঞতার কাছে খেই হারিয়ে ২-৪ ব্যবধানে হেরে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন মাটি হয়েছে দলটির।যে কারণে রানার্সআপ হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো দলটিকে। ৯৮’র চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স বিশ্বসেরা হয়েছে আরেকবার।
ক্রোয়েশিয়ার মানজুকিচ এদিন প্রথমে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন। এরপর পেরিসিচ তাদের সমতায় ফেরান। ক্রোয়েশিয়া আবার পিছিয়ে পড়ে পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে পগবা এবং এমবাপে আরও দুই গোল করেন। শেষদিকে মানজুকিচ এক গোল শোধ দিলেও যথেষ্ট ছিল না।

১৯তম মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় ফ্রান্স। কিক নিতে এগিয়ে আসেন সেটপিস বিশেষজ্ঞ গ্রিজম্যান। এদিনও তিনি বাজিমাত করেন। তার দারুণ শট হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন মানজুকিচ।

এর আগে কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে কোনো খেলোয়াড় নিজেদের জালে বল জড়াননি।
২০১৬ ইউরোর ফাইনালে পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে হারের জ্বালাটা ভুলতে পারেনি ফ্রান্সের । কোচ দিদিয়ের দেশম আসলে ভুলতে দেননি, আবার বিষাদের মাঝে আটকেও রাখেননি। হারের পর শিষ্যদের মানসিকতায় অবশ্য যোগ করেছিলেন শিক্ষা আর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। যেটা কাজে লাগিয়ে লুঝনিকির ফাইনালে রূপকথা লিখল দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ফরাসিরা।১৯৯৮ বিশ্বকাপ জেতা ফ্রান্সের এটি দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০০৬ সালে ফাইনালে ওঠলেও ইতালির কাছে হেরে গিয়েছিল দলটি।