জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন, তাঁর শরীরে ব্যথাও রয়েছে। আর এ কারণেই স্বজনরা কারাগারে গেলেও তিনি দেখা করতে পারেননি। তিনি অসুস্থ হওয়ায় তিনি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে পারেননি; অন্যদিকে স্বজনরাও খালেদা জিয়ার কক্ষে যাওয়ার অনুমতি পাননি।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম শনিবার বিকেলে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিকেল ৪টা ২১ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন সেলিমা ইসলামসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য। এরা হলেন- সেলিমা ইসলামের স্বামী রফিকুল ইসলাম, তারেক রহমানের স্ত্রীর বড় বোন শারমিন জামান খান, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ডা. মামুন ও ভাগ্নি সাফিয়া ইসলাম। বিকেল ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত তারা কারাগারের ভেতরে অবস্থান করেন।
সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে উপরে গিয়ে তার রুমের পাশে করিডোরে দেখা করতাম। কিন্তু আজকে সে অসুস্থ জেনে এসেছি। পারমিশনও আমাদের দিয়েছে। কিন্তু উনি নামতে পারছেন না। আমাদেরও উপরে যেতে দিলো না। তাই আমাদের সাথে সাক্ষাৎ হয় নাই। ওর স্বাস্থ্যের জন্য আমরা উদ্বিগ্ন।
খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সে অসুস্থ ছিল, জ্বর ছিল। গত তিন-চারদিন ধরে তার বেশ জ্বর। এখন বলছে বুকে ব্যথা। সে তো হাঁটতে পারছে না। সে নামবে কী করে? আমাদের উপরে যেতে দিলো না।’
এর আগে গত ৩০ জুন পরিবারের পাঁচ সদস্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।

গত ১১ জুলাই কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্য বা তাঁর দলের নেতারা ১১ দিন ধরে চেষ্টা করেও দেখা করতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ১১ দিন তাঁর পরিবারের সঙ্গে এবং কারো সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এটি নিয়ে তারা কোনো কথা না বলে কারাবিধির অজুহাত দেখাচ্ছে।