বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিনের সংক্রান্ত আদেশের দিন আগামী রোববার ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার জামিন বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করেন। এরপর আদালত আদেশ অপেক্ষমান রাখার পর সন্ধ্যায় জানানো হয় রোববার আদেশ দেবেন।

এদিন আসামির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার জামিন শুনানি করেন।

তারা বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। ডিবি, র‌্যাব তদন্ত করে জানিয়েছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টও এসেছে আত্মহত্যার। বুশরা মেধাবী শিক্ষার্থী। বিতর্ক করার সময় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। দুই তদন্ত সংস্থা তন্ন তন্ন করে দেখেছে ঘটনা কি। বুশরা ঘটনার সাথে জড়িত নয় মর্মে তদন্তে পেয়েছে। বুশরাকে ১০টায় নামিয়ে দেয়। পরে সে আত্মহত্যা করে। এখানে বুশরার কোনো দায় নেই।

এ দুই আইনজীবী আরও বলেন, ‘বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এটা পাওয়া যায়নি। আমরা মানবিক কারণে এসেছি জামিন চাইতে। দয়া করে, তাকে জামিন দিন।’

বাদীপক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট শামীম হাসান জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘বুশরা এজাহারনামীয় আসামি। মামলার তদন্ত চলছে। সুষ্ঠ নিরপেক্ষতার জন্য আরও তদন্ত হওয়া দরকার। এ অবস্থায় আসামি জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। এজন্য তার জামিনের বিরোধিতা করছি।’ শুনানিকালে ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানা আদালতে হাজির হন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

মামলা দায়েরের পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১০ নভেম্বর তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বুশরা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে দেড় মাসের অধিক সময় ধরে কারাগারে রয়েছে বুশরা।