মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের কার্যক্রম দ্রুত পরিচালনা করার জন্য সরকারের পৃথক আদালত গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল । ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

মন্ত্রী জানান, বিদ্যমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনটি ১৯৯০ সনের। ১৯৯০ সালের আইন দিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এজন্য বর্তমান সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ প্রণয়নের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে উক্ত আইনের খসড়া প্রণয়নের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। নতুন আইনে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নতুন আইনে মাদকাসক্ত সনাক্তের জন্য ডোপ টেষ্টের বিধান রাখা হয়েছে। মাদক ব্যবসায় অর্থ লগ্নীকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ আইনের আওতায় মৃত্যুদন্ড প্রদানের প্রস্তাব করা রাখা হয়েছে। নতুন করে আবির্ভূত কোন মাদকদ্রব্যকে আইনের আওতায় মাদক হিসেবে ঘোষণার জন্য মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ক্ষমতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিসা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বিধায় একে মাদকদ্রব্যের তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।তিনি জানান,দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল হতে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি প্রদানের নিমিত্ত মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হয়েছে।