সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা আজ শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে বা দলের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করলে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউপি নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম জেলা পর্যায় থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উপজেলা কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়াও, ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩টি উপজেলার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়।
চলতি অক্টোবরের ২২ তারিখ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বর্ধিত সভা হবে। এরপর ২৩ অক্টোবর বিয়ানীবাজার, ২৪ অক্টোবর ফেঞ্চুগঞ্জ, ২৫ অক্টোবর ওসমানী নগর, ৩০ অক্টোবর কানাইঘাট, আগামী ৬ নভেম্বর জৈন্তাপুর, ৭ নভেম্বর গোয়াইনঘাট, ১৩ নভেম্বর জকিগঞ্জ, ১৪ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ, ১৫ নভেম্বর বিশ্বনাথ, ২০ নভেম্বর সুরমা, ২১ নভেম্বর বালাগঞ্জ ও ২৭ নভেম্বর সিলেট সদর উপজেলায় বর্ধিত সভা হবে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় অংশ নিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের বিজয় সুনিশ্চিত করতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সব কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। এ লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান।
সভায় বক্তব্য দেন, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, নিজাম উদ্দিন, সুজাত আলী রফিক, আহমদ আল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ, শাহ মো. মোসাহিদ আলী, নাজনীন হোসেন ও সাংসদ হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সুত্র-বাসস