গ্রামের মসজিদের ইমামের বশীকরনের তাবিজ নিয়েও খালাতো বোনকে বার বার প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়েছিলেন ইজাজুল তালুকদার । কিন্তু এই দুঃখে অভিমান করে একাধিকবার করেন আত্মহত্যার চেষ্টা ইজাজুল । প্রতিবার পরিবারের লোকজন প্রাণ বাঁচালেও শেষ রক্ষা হয়নি।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে আবারও বিষপান করেন ইজাজুল তালুকদার। স্বজনরা দ্রুত তাকে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলেও রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ইজাজুল তালুকদার হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমবাগ গ্রামের ইব্রাহিম তালুকদারের ছেলে। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে মাস্টার্স ভর্তির অপেক্ষায় ছিলেন।

শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে ইজাজুলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান, ইজাজুল তালুকদার দীর্ঘদিন ধরে তার খালাতো বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বার বারই তার খালাতো বোন প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

মাসখানেক আগে গ্রামের কদমতারা মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হুমায়ুন কবিরের কাছ থেকে খালাতো বোনকে বশ করতে তাবিক-কবজ আনেন। এতে কাজ না হওয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ইজাজুল। সে যাত্রায় পরিবারের লোকজনের চেষ্টায় যথাসময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান তিনি।

এ ঘটনায় ইজাজুলের বাবা ইব্রাহিম তালুকদার বাদি হয়ে ইমাম হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ইমাম হুমায়ুন কবির জামিনে আছেন।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে আবারও ইজাজুল বিষপান করে ছটফট করতে থাকে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে জানতে ইমাম মাওলানা হুমায়ুন কবিরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে স্থানীয়রা জানান, ইজাজুলের মৃত্যুর খবরে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।