দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ঢাকা মহানগর গোয়ন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান।

আজ বুধবার দুপুরে আরিফুর রহমান জানান, সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়ন্দা পুলিশের রমনা জোনাল টিম।

ডিবি জানিয়েছে, ডিবি মামলাটি বুঝে পেয়েছে। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এখনো নিয়োগ হয়নি।

গত সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। সেখানে তাকে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি চুরির চেষ্টা এবং মোবাইলে ছবি তোলার’ অভিযোগে রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ঢাকার শাহবাগ থানায় করা মামলায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এরপর গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার একটু পরে সিএমএম আদালতে তোলা হয়ে রোজিনাকে। এর আগে তাকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়। সকাল ৮টার দিকে রোজিনা আদালতে পৌঁছান। সে সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে রোজিনা ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তার রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২০ মে তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতের আদেশের পর রোজিনা ইসলামকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।