গত বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাঘাত ঘটে রেমিট্যান্স প্রবাহে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ক্রমাগত কমতে থাকে প্রবাসী আয়। এরপর আবার মে মাস থেকে বাড়তে থাকে। এই ওঠা-নামার মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে সৌদি আরব থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক থেকে তালিকায় প্রথমে রয়েছে সৌদি আরব। প্রথম ১০ দেশের এই তালিকায় রয়েছে- আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ওমান, কুয়েত, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২১১৪.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইউএসএ থেকে এসেছে ১০৯৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৯৬৭.৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ৭৯৫.১ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যুক্তরাজ্য থেকে ৬৮৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার, ওমান থেকে ৬৪২.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার, কুয়েত থেকে ৬২৪.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার, কাতার থেকে ৪৪৯.৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার, ইতালি থেকে ২৯০.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার ও সিঙ্গাপুর থেকে ২৩৫.৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস বছরের শুরুর দিকে রেমিট্যান্স প্রভাবে বাঁধা সৃষ্টি করলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দুই শতাংশ প্রণোদনার কারণে বৈধ পথে আসা রেমিট্যান্স প্রভাব সচল রয়েছে বলে দাবি করছেন প্রবাসে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

প্রবাসী সংগঠকরা বলছেন, করোনার কারণে বছরের প্রথম কয়েকমাস প্রবাসীরা কর্মস্থলে যেতে না পারায় রেমিট্যান্সের গতি কমে যায়। তবে পুনরায় প্রবাসীরা কাজে যোগ দিলে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে খ্যাত প্রবাসী রেমিট্যান্স ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিজনেস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ বলেন, সরকারের ঘোষিত দুই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার কারণেও রেমিট্যান্স বেড়েছে। এটি ছিল সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। প্রবাস থেকে অনেকে দেশে টাকা পাঠানোর অবৈধ পন্থা পরিহার করে ব্যাংকমুখী হয়েছেন।