বগুড়ার শিবগঞ্জে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মিলন মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোরবার রাতে উপজেলার বিহার ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর সোমবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ওই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার পুত্রবধূ বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলায় গৃহবধূ অভিযোগ করেন, ‘তার স্বামী পেশায় ট্রাকের হেলপার। ২০/২১দিন পর পর বাড়ি ফিরতো। এই সুযোগে শ্বশুর মিলন মিয়া প্রায়ই গভীর রাতে পুত্রবধূর ঘরে প্রবেশ করে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিত। জেগে উঠলে মিলন মিয়া পালিয়ে যেত। লম্পট মিলন মিয়া এরপর ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। তার পুত্রবধূ প্রতি রাতে দুধ পান করতো। একদিন মিলন মিয়া সেই দুধের মধ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পুত্রবধূকে খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করে। দীর্ঘ সময় পর ঘুম ভাঙলেও পুত্রবধূ বিষয়টি বুঝতে পারে। এরপর পুত্রবধূ তার শ্বশুরকে হাতে-নাতে ধরার জন্য গত ২৬ জুলাই রাতে ঘুমের ভান করে শুয়ে পড়ে এবং ভিডিও দৃশ্য রেকর্ড করার জন্য পাশেই মোবাইল ফোন রেখে দেয়। এরপর শ্বশুর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করলে পুরো দৃশ্য ভিডিওতে রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা চলে। পরে ৪ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় পুত্রবধূ বাদী হয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করলে পুলিশ মিলন মিয়াকে গ্রেফতার করে।’

ঘটনার এতদিন পর মামলার কারণ জানতে চাইলে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান জানান, লম্বট শ্বশুর দীর্ঘদিন ধরেই তার পুত্রবধূকে ধর্ষণ করে আসছিল। মেয়েটি বিষয়টি তার স্বামী, শ্বাশুড়ি এবং নিজের মাকে বলেছিল। কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি। এরপর ২৬ জুলাই সর্বশেষ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে মেয়েটি তার বাবার বাড়ি চলে যায়। এমনকি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছেও বিচার দেয়, কিন্তও তাতেও কোন কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে রোববার সন্ধ্যায় নির্যাতিত ওই গৃহবধূ থানায় এসে মামলা করেন।