বেলজিয়ামের আশা ভঙ্গ করে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠেছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের এই ম্যাচে ফরাসিরা জিতেছে ১-০ গোলে।
সেইন্ট পিটার্সবুর্গে শুরু থেকেই বল দখল আর আক্রমণের এগিয়ে ছিল বেলজিয়াম। ১৫তম মিনিটে। কেভিন ডে ব্রুইনের পাসে ডি-বক্স থেকে এইডেন হ্যাজার্ডের কোনাকুনি শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর অপর প্রান্তে ব্লেইস মাতুইদির চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন গোলকিপার থিবো কর্তোয়া।

পরের মিনিটে আবারও ডি-বক্স থেকে হ্যাজার্ডের জোড়ালো শট ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে কোনোমতে মাথা লাগানোয় বল ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। ২২তম মিনিটে দুর্দান্ত সেভে বেলজিয়ামকে গোলবঞ্চিত করেন উগো লরিস। ৩৯তম মিনিটে বাঁজামাঁ পাভার্দের কোনাকুনি শট দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে ফ্রান্সকে গোল করতে দেননি কর্তোয়া।
ম্যাচের প্রথমার্ধ কাটে গোলশূন্য ভাবে। দ্বিতীয়ার্ধের ৭ম মিনিটেই সামুয়েল উমতিতির গোলে বেলজিয়ামের বিপক্ষে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে কর্নার কিক থেকে বল পেয়ে বেলজিয়ামের জালে পাঠান বার্সেলোনার এই ডিফেন্ডার। গোল খেয়ে আক্রমণ আরও জোরদার করে বেলজিয়াম। গোল পরিশোধের আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় লুকাকুরা। ফ্রান্সের রক্ষণে বেশ কয়েকবার ভয় ধরিয়ে দিয়েও গোলের দেখা পায়নি বেলজিয়াম। একজন ফিনিশারের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বেলজিয়াম। লুকাকু নিজের ছায়া হয়েই থেকেছে এই ম্যাচে। যার খেসারত দিয়েছে তাঁর দল। ১৯৮৬ সালের পর আরও একবার সেমিফাইনালে উঠে সুযোগ হাতছাড়া করল রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ১৯৯৮’র চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। কে হবে তাদের প্রতিপক্ষ, ইংল্যান্ড নাকি ক্রোয়েশিয়া? ঘড়ির কাঁটা কয়েক ঘণ্টা ঘুরলেই সেটা জানা সম্ভব। আপাতত অপেক্ষা…।