গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি উভয়েই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ধর্ষণ আর দুর্নীতিতে সরকার করোনায় আক্রান্ত। আর বিএনপি করোনায় আক্রান্ত মাজাভাঙা রাজনীতিতে। এই করোনা থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সরকারকে ধর্ষণ আর দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে বিএনপিকেও মাজাভাঙা রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার। দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারছে না।

তিনি বলেন, দেশে যেভাবে ধর্ষণ আর গণধর্ষণ করছে ছাত্রলীগের ছেলেরা, তাতে এ দেশের মা-বোনেরা আর শান্তিতে থাকতে পারছে না। কোথাও শান্তিতে বের হবে, তারও উপায় নাই। অন্যদিকে দুর্নীতি যেভাবে ছড়িয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের আর বাঁচার উপায় নাই।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে সুশাসন নেই। সুশাসন থাকলে ছাত্রলীগ এভাবে যেখানে সেখানে ধর্ষণ করতে পারত না। সরকারপ্রধানের উদ্দেশে তিনি বলেন, এনাফ ইজ এনাফ। আর না। এবার ক্ষমতা ছাড়েন। অনেক হয়েছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। কোথাও কেউ শান্তিতে নেই। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে মূলত বঙ্গবন্ধুকেই অপমান করছে সরকার। কারণ বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষমতা সবসময় জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকবে। বঙ্গবন্ধু শোষণবিহীন সমাজ ব্যবস্থার জন্য লড়াই করেছেন।

পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে তেলেসমাতি খেলছে সরকার। আগেই ব্যবস্থা নিলে এরকম পেঁয়াজকান্ড হতো না। ভারত নীতি পরিহার করতে হবে। নিজের উৎপাদন বাড়ানো ও অন্যান্য দেশের পেঁয়াজ আনতে হবে। তাহলে ভারত এভাবে খেলতে পারবে না।

রাজপথের বিরোধী দল বিএনপিকে আবারও রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি করোনায় আক্রান্ত, মাঠে নামার মেরুদন্ড তাদের নেই। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি এতোটাই করোনাগ্রস্ত যে, তারা রাস্তায় নামতে পারে না। বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রেই জাতি চরম দুর্দশায় আছে। এ থেকে মুক্তির একটাই পথ, সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ারও আহ্বান জানান। প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করতে ডা. জাফরুল্লাহ সরকারি আদেশ জারিরও দাবি জানান।