আগামী মঙ্গলবার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভোর ৪টায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা থেকে আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট সাতটি অধিবেশনে অংশ নেবেন তিনি। এ সময় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোহিঙ্গা, জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক বৈষম্য হ্রাস, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশন নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদরদপ্তরে শুরু হয়েছে। এ অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্ব আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে।

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপের কারণে এবারের অধিবেশন পূর্ববর্তী বছরগুলো থেকে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধিমালা অনুসরণ করে জাতিসঙ্ঘের ইতিহাসে এ প্রথম ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ দেশ থেকে এবারের সভায় অংশগ্রহণ করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনের বিভিন্ন বিষয়বস্তু তুলে ধরার পাশাপাশি সেখানে বাংলাদেশের ভার্চুয়ালি উপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংযুক্ত ছিলেন।

সাধারণে অধিবেশনের মূল বিতর্ক ছাড়াও আরো কয়েকটি শীর্ষ পর্যায়ের সভায়ও ধারণকৃত বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে আগামী মঙ্গলবার ভোর ৪টায় (বাংলাদেশ সময়) প্রথম বক্তব্যটি প্রচারিত হবে।

ড. মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী গত কয়েক বছরের মতো এবারও অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যাটি তুলে ধরবেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইসিজেতে চলমান মামলা এবং আইসিসিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা পূর্বের বছরগুলোর মতোই গুরুত্বসহকারে আলোচিত হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বক্তৃতা দেবেন। বক্তৃতায় স্বাভাবিকভাবেই কোভিড-১৯ দমনে বিশ্ববাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার আবশ্যকতা, ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত ও দুর্দশা দমনে আমাদের গৃহীত কার্যক্রম প্রাধান্য পাবে।’

পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তির আদান প্রদান, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, শিশু স্বাস্থ্য ও তাদের অধিকার, শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ এবং নারীর ক্ষমতায়ণের মতো বিষয়গুলো উঠে আসবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সূত্র : ইউএনবি