ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ফুল বিক্রি করা পথশিশু জিনিয়াকে গতকাল সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটী থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিশু বিশ্বাস।

তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে লুপা তালুকদার নামে এক নারী তাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায়। পরে নারায়ণগঞ্জে তার বোনের বাসায় রাখে। সেখানে থেকেই জিনিয়াকে উদ্ধার করা হয়। সে বর্তমানে সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছে।

লুপা নিজেকে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্তু পুলিশ সেই সংবাদমাধ্যমের কোন অস্তিত্ব পায়নি বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিশু বিশ্বাস।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর লুপা পুলিশের কাছে দাবি করেছে, সে মেয়েটিকে লালন-পালন করে বড় করবে- এই কথা বলে নিয়ে যায়। কিন্তু ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ তেমন কোনো প্রমাণ পায়নি। উল্টো ওই নারী ও তার পরিবারের উশৃঙ্খল আচরণ ও চলাফেরার প্রমাণ পায় পুলিশ। বিষয়টি সন্দেহজনক অপহরণ মনে হওয়ায় লোপা তালুকদারকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।

মূলত কী উদ্দেশে শিশুটিকে নিয়ে গিয়েছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এর আগে পয়লা সেপ্টেম্বর দুই তরুণীর সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলতে দেখা যায় জিনিয়াকে। পাশের একটি দোকানে তিনজন মিলে চটপটিও খায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ জিনিয়া। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করেছিলেন জিনিয়ার মা।

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে জিনিয়ার বড় বোনও নিখোঁজ হয়েছিলে। দেড় বছর পর খোঁজ মিলেছিল তার। বাবা হারানো তিন মেয়েকে নিয়ে ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন জিনিয়ার মা।