দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অবস্থা স্থিতিশীল তবে শঙ্কামুক্ত নন তিনি।বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫ মিনিটের দিকে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এর আগে রাত ৯টায় তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে আড়াই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার শেষে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক বদরুল আলম খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

অস্ত্রোপচার শুরু হয় রাত ৯টার দিকে। বদরুল আলম বলেন, ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি কতটা সে সম্পর্কে এখনই বলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে অন্য যেসব লক্ষণ দেখে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলা হয়, সে লক্ষণগুলো কিছুটা ভালোর দিকে। তার শরীরের রক্তচাপ, অক্সিজেনের স্তর এখন ভালো আছে।

ওয়াহিদা কোনো কথা বলেছেন কি না জানতে চাইলে বদরুল আলম বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর তিনি সাড়া দিয়েছেন। তবে তিনি কোথায় আছেন, কীভাবে এলেন— তা এখনো বুঝতে পারছেন না।

বুধবার দিবাগত রাতের কোনো একসময়ে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে ঢুকে ইউএনও ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তাকে রংপুরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জরুরি ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে আনা হয়। তার বাবাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ মাহমুদ বলেন, বুধবার রাতের কোনো এক সময়ে হামলা হয়েছে। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে দুর্বৃত্তরা তার শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে। এর আগে দুর্বৃত্তরা ওই বাসভবনের নিরাপত্তা প্রহরীকে বেঁধে প্রহরী কক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। ইউএনওর বাবা ওমর আলী (৬০) প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হাঁটতে বের না হওয়ায় সঙ্গীরা তার খোঁজ নেয়ার জন্য বাসভবনে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ইউএনও, তার বাবা ও প্রহরীকে উদ্ধার করে।