চাঁদপুরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রাম। সেখানে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে নারায়ণ চন্দ্র দে’র দুটি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও ঘটনার শিকার নারায়ণ চন্দ্র দে জানান, গত ১০ আগস্ট পাশের রুহুল আমিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের ক্ষেতের ধইঞ্চা আমার গরু খেয়ে ফেলে।এর জের ধরে দেলোয়ার আমাকে মারধর করে। পরে দেলোয়ারসহ তার ভাতিজা সৈয়দ আলীর ছেলে জহর আলী, ফারুক, সুমন, শাহাদাত, রুহুল আমিনের ছেলে সুফিয়ান ও মনির এক জোট হয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা এবং মারধর করে। এ ঘটনার সময়ে দেলোয়ার আমাকে ও পরিবারের লোকজনকে ক্ষতি করবে এবং আমার ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে আমাকে এলাকা ছাড়া করবে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

ঘটনার ৫ দিন পর গত ১৫ আগস্ট রাতের আঁধারে আমার দুটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় বাড়িতে অবস্থানকারী আমার জেঠাতো ভাই রনজিত দে মাছ চাষ করার পুকুর দেখতে ঘুম থেকে উঠলে তিনি আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে আশ-পাশের লোকজন দৌড়ে এসে আগুন নেভাতে সাহায্য করে। এতে আমার পাকা বসতঘর রক্ষা পেলেও পাশের দুটি ঘরে থাকা ধান, আলু, ভুট্টা, লাকড়ী, পাট ইত্যাদি ভস্মীভূত হয় ।

এদিকে, দেলোয়ার হোসেনের ভাতিজা শাহাদাত জানান, দু’ পক্ষের মধ্যে গরু ধইঞ্চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে। গত ১৪ আগস্ট এ নিয়ে শালিস বৈঠকের কথা থাকলেও তা হয়নি। অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভয় আর আতঙ্কে দিন কাটছে নারায়ণ চন্দ্র দে ও তার পরিবারের।

এ বিষয় মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার আইচ বলেন, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।