খেলাধুলা | তারিখঃ আগস্ট ৯, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 379 বার
৩৪টি শিরোপা জিতে স্পেনের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু কি স্পেন, ইউরোপেরই তো সর্বকালের সেরা দল বলা হয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটিকে। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ১৩বার মাথায় পরেছে তারা। এবার আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্নই দেখছিল রিয়াল। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন উবে গেছে, শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে।
নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে হারায় জয়ের বিকল্প ছিল না রিয়ালের। কিন্তু সিটিজেনদের আক্রমণের মুখে বেশিরভাগ সময় নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয় জিনেদিন জিদানের দলকে। সেটাও ভালোভাবে পারেনি তারা। দলনেতা সার্জিও রামোসের অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব ছিল রাফায়ের ভারানের কাঁধে। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এই ডিফেন্ডারের রাতটা কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। তার ভুলেই ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়ে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে তাদেরকে সমতায় ফেরান করিম বেনজেমা। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার ভারানের আরেকটি ভুলে জয়স‚চক গোল পেয়ে যায় সিটি। স্প্যনিশ জায়ান্টদের বিদায় করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল ইংলিশ ক্লাবটি।
গতপরশু রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে সিটিজেনরা। ঘরের মাঠে তাদের দুই গোলদাতা রহিম স্টার্লিং ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস। সিটির হয়ে এটি ইংলিশ ফরোয়ার্ড স্টার্লিংয়ের এটি শততম গোল। প্রথম লেগে রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-১ গোলে জিতেছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় পরের পর্বে উঠেছে দলটি।
একই রাতে দুঃস্বপ্নের বিদায় হয়েছে রিয়ালের সঙ্গেই নিজের নাম জড়িয়ে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নতুন দল জুভেন্টাসেরও। তবে পর্তুগিজ তারকা উজার করে দিয়েছেন নিজেকে, করেছেন জোড়া গোল, জিতেছিল দলও। তবুও অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে তাদের বিদায় করে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে অলিম্পিক লিওঁ।
ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে লিঁওকে ২-১ গোলে হারিয়েও হতাশায় বসে পড়তে হয়েছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। দুই লেগ মিলিয়ে সমান ২-২ গোল হলেও অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে ফরাসী ক্লাবটি।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে অষ্টম মিনিটেই গোল খেতে বসেছিল জুভেন্টাস। তবে সে যাত্রায় রক্ষা পেলেও লাভ হয়নি। কয়েক মিনিট বাদেই চরম বিতর্কিত এক পেনাল্টিতে পিছিয়ে যায় মাউরিসিও সারির দল। পরের রাউন্ডে যেতে হলে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততেই হতো ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের । সুযোগও আসে সেই পেনাল্টির হাত ধরে। তা থেকে গোল করে দলকে সমতায় আনেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
বিরতির পর দারুণ আরেক গোলে দলকে এগিয়েও নেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। আসরে রোনালদোর এটি চতুর্থ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে তার মোট গোল হলো রেকর্ড ১৩০টি। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে তার গোল হলো ৩৭টি। তবু লাভ হয়নি। মেম্ফিস ডিপাইয়ের সেই ‘বিতর্কিত’ অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে ইতালিয়ান জায়ান্টদের বিদায় করে পরের রাউন্ডে চলে গেছে অলিম্পিক লিঁও।
বাংলাদেশ সময় আগামী শনিবার রাত একটায় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে সিটি ও লিওঁ।
এক নজরে ফল
জুভেন্টাস ২-১ অলিম্পিক লিওঁ
(২-২ অগ্রগামিতায় শেষ আটে লিওঁ)
ম্যানসিটি ২-১ রিয়াল মাদ্রিদ
(৪-২ অগ্রগামিতায় শেষ আটে সিটি)
Leave a Reply