প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব নরেন দাস। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এর আগে গত ৫ জুলাই সচিব নরেন দাসের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ জুলাই করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলে ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট আসে।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এক শোকাবার্তায় আইনমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। লেজিসলেটিভ সচিবের মৃত্যুতে আরও শোক জানিয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো.গোলাম সারওয়ার।

নরেন দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি নরেন দাসের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বলে সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে জানানো হয়।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবের মৃত্যুতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ছিলেন একজন কর্মনিষ্ঠ, সৎ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন দেশ ও জনগণের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তার মৃত্যুতে দেশ একজন মেধাবী কর্মকর্তাকে হারালো।’ প্রতিমন্ত্রী তার আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন ও তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত। তিনিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান নরেন দাস। এর আগে তিনি এ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের (ড্রাফটিং) দায়িত্বে ছিলেন।