ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও শেষটায় এসে ঘুম ভাঙে ভিয়ারিয়ালের। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। প্রথমার্ধে গোল খেয়েও রিয়ালের রক্ষণে চোখ রাঙানি দেখাতে পারেনি তারা। তবে ৮৩ মিনিটে গোলের পর বড় দুটি সুযোগ তৈরি করে ভিয়ারিয়াল। কিন্তু থিবো কর্তোয়াকে ফাঁকি দিতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত বেনজেমার জোড়া গোলে ২-১ গোলের সহজ জয় পায় রিয়াল। এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করে লা লিগা শিরোপা।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে লুকা মডরিচের বাড়ানো বল ধরে দারুণ এক গোল করে দলকে প্রথম লিড এনে দেন বেনজেমা। করেন মৌসুমের ২০তম গোল। এরপর মৌসুমে তার ২১ তম গোল রিয়ালকে এনে দেয় শিরোপা।

ম্যাচের ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। কিন্তু রামোস পেনাল্টি শটটি বেনজেমাকে পাস দেন। শট নিয়ে বেনেজমা গোল করলেও রেফারি তা বাতিল করে দেন। পরে পেনাল্টি শটটি বেনজেমা নিয়ে গোল করেন। পরে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ইবোরা গোল করে হারের ব্যবধান কমান। শেষটায় ভিয়ারিয়াল সমতা করার জোর চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। যোগ করা সময়ে অবশ্য ভিনিসিয়াস জুনিয়রের করা গোলটি বাতিল না হলে জয়টা আরও বড় হতো রিয়ালের।

দারুণ এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তাদের ৩৪তম লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করল। বার্সেলোনার চেয়ে তাদের লা লিগা শিরোপা ব্যবধান দাঁড়াল আটে। রিয়ালের কোচ হয়ে দুই মেয়াদে জিদান সব মিলিয়ে জিতলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১তম শিরোপা। এছাড়া কোচ ও ফুটবলার হিসেবে জিজু পঞ্চম লা লিগা শিরোপার সাক্ষী হলেন।

এছাড়া রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান ভক্তদের দেওয়া কথাও রাখলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে লস ব্লাঙ্কোসদের দায়িত্ব নিয়ে জিদান পরিষ্কার করে বলেছিলেন, নতুন মৌসুমে লা লিগা শিরোপাকে প্রাধান্য দেবেন তারা। করোনা পূর্ববর্তী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সা তাদের চেয়ে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু করোনা পরবর্তী জিদানের শিষ্যরা ১১ ম্যাচকেই ফাইনাল লক্ষ্য ধরে নামে। বার্সার পয়েন্ট হারানোর সুযোগ নিয়ে লিগে টানা ১০ জয়ে নিশ্চিত করে লিগ শিরোপা।