মরণব্যাধি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী লুনা খন্দকারের চিকিৎসা চলছে স্কয়ার হাসপাতালে। নিজের শারীরিক দুর্বলতা ছাড়া মোটামুটি ভালো থাকলেও তার স্ত্রীর শরীরে নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস তার ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটিয়েছে।

যদিও এ পরিস্থিতির মধ্যে এখন লুনাকে সব সময় অক্সিজেন সাপোর্ট নিতে হচ্ছে না। প্রয়োজন হলেই কিছুক্ষণ পর পর অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটির ১৩নম্বর ওয়ার্ড সচিব আলী সাবাব টিপু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টার দিকে গণমাধ্যমে তিনি জানান, গত ৩০ মে রাতে স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কাউন্সিলর খোরশেদ তাকে সাজেদা হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে এমপি শামীম ওসমানের সহযোগিতায় তাদের দুজনকেই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। লুনার করোনা ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসা একসঙ্গে চলছে। শ্বাসকষ্ট হলেই অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।

টিপু আরও বলেন, ‘আগের চেয়ে অবস্থা একটু ভালো হলেও লুনা আশঙ্কামুক্ত নন। তার ফুসফুসের ৫০ ভাগ অক্সিজেন না পাওয়ায় প্রয়োজন হলেই অক্সিজেন সাপোর্টে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কাউন্সিলর খোরশেদের অবস্থা বর্তমানে খুবই ভালো। তিনি আশঙ্কামুক্ত আমরা বলতে পারি।’

ওয়ার্ড সচিব আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তারা ভালো আছেন, খারাপ আছেন বিষয়গুলো ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়। হয়ত এখন একটু রোগী ভালো অনুভব করছেন। দেখা গেল একটু পরেই আবার একটু বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই সম্পূর্ণ ভালো হওয়ার বিষয়টি একটি সঠিক সময় রয়েছে। তাই ভালো খারাপ বলার বিষয়টি চিকিৎসা পদ্ধতি ও সময়ের ওপর নির্ভর করে বলা যাবে।’