পদ্মা সেতুর ৩০তম স্প্যান বসানো হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দীর্ঘ ‘৫বি’ নম্বর স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর চার হাজার ৫০০ মিটার। বাকি থাকল আর ১১টি স্প্যান স্থাপনের কাজ; যা বসে গেলে ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর পুরোটা দৃশ্যমান হবে। সেগুলোও দ্রুত বসানোর কাজ চলছে। এর আগে গত ৪ মে মাওয়া প্রান্তে বসানো হয়েছিল ২৯তম স্প্যানটি।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ূন কবীর জানান, শুক্রবার তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেন দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি বহন করে জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের কাছে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়। গতকাল সকাল ৭টার দিকে স্প্যানটি পিলারের ওপর ওঠানোর কাজ শুরু করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্প্যানটি পিলারের ওপর ওঠানোর কাজ সমাপ্ত করেন পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পদ্মা সেতুতে বসানোর জন্য আরো পাঁচটি স্প্যান প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে দুটিতে রং করার কাজ চলছে। মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৮৬.৫০ শতাংশ। কাজের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যেতে পারলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী (আগামী বছর জুন মাসে) সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ ছাড়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে স্প্যানের ওপরে স্লাব বসানোর কাজও। সেতুর ওপরের তলায় রোডওয়ে স্লাব বসবে ২৯১৭টি। এর মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে ২৭২৭টি। বসানো হয়েছে ৫৮১টি। নিচতলায় রেলওয়ে স্লাব বসবে ২৯৫৯টি। এর সবই তৈরি হয়ে গেছে। আর স্থাপন করা হয়েছে ১১০৫টি। দুই পারে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সেতুর কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। সুপার টি গার্ডার স্থাপন হচ্ছে সমানে।