বঙ্গোপসাগরে ২০ মে হতে ২৩ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে কোন জেলে যেন ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যেতে না পারে সেজন্য নৌ পুলিশের ১৯টি নৌ পুলিশ স্টেশন ৫টি জাহাজ, ট্রলার ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার নদীগুলোতে অবস্থান করে কঠোরভাবে নজরদারি করবে।

নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) ডিএমপি নিউজকে বলেন, নৌ পুলিশ স্টেশনসমূহের কাছে সকল ফিশিং বোট ও ট্রলারের তথ্য রয়েছে। এই ট্রলারগুলো কোথায় অবস্থান করছে সেদিকেও দৃষ্টি রাখবে নৌ পুলিশ। সকল ফিশিং বোট ও ট্রলারগুলোকে যৌক্তিক কারণ ছাড়া জেটি বা ঘাটের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

তিনি ডিএমপি নিউজকে বলেন, যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ সাগরে মাছ ধরতে যায় তাহলে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ৫ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা নিবে নৌ পুলিশ। এছাড়াও ক্রয়-বিক্রয় বা বরফের মাধ্যমে মজুদের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে জড়িত সকল অভিযুক্ত ও বরফ কলের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পুরো প্রক্রিয়ার সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত অভিযুক্তদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আর যদি কেউ ভাবে যে, ফাঁকি দিয়ে পার পাবে, তা সম্ভব হবে না। কেননা ইউনিফর্মের সদস্যদের বাইরেও নৌ পুলিশের গোয়েন্দা দল বিশেষ নজরদারি রাখছে।

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল মিডিয়া এন্ড ট্রেনিং) ফরিদা পারভীন ডিএমপি নিউজকে জানান, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে কেউ যেন আইন অমান্য করে মাছ ধরতে না পারে সেদিকে কঠোরভাবে নজরদারি করবে নৌ পুলিশ।

দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পায় সে বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছে নৌ পুলিশ। উৎসঃ ডিএমপি নিউজ