পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সামিউল আলম নামে ১২ দিনের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার
মামী নীলুফা বেগমের (২৪) বিরুদ্ধে। পরিকল্পিতভাবে ওই শিশুকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পরে মামী নীলুফা বেগম দেবীগঞ্জ আমলী আদালত-২ এর বিচারক মো. মাছুদুর রহমানের আদালতে শিশু হত্যায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন নীলুফা বেগম এবং আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নীলফামারী সদরের গোড়গ্রাম মাঝপাড়া এলাকার মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ক্লাবগঞ্জ এলাকার শাহিদা আক্তারের বিয়ে হয়। মাস খানেক আগে অন্ত:সত্বা শাহিদা প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে বাবার বাড়িতে আসেন। সন্তান প্রসবের জন্য বাবার বাড়ি আসার পর থেকেই শাহিদার সঙ্গে তার বড় ভাই আব্দুস সামাদের স্ত্রী নীলুফা বেগমের ছোটখাট বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগে থাকতো। গত ১৪ জুন একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন শহিদা আক্তার। এরই মধ্যে নবজাতকের নাম রাখা হয় সামিউল আলম। তবে সন্তান জন্মের পর তাদের মধ্যে ঝগড়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। সোমবার দুপুরে শিশুটিকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে মা শহিদা আক্তার কান্নাকাটি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ১২ দিন বয়সী শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা শাহিদা আক্তার বাদি হয়ে নীলুফা বেগমকে আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ নীলুফা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নবজাতক বা শিশুর ময়নাতদন্তের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পরবিারের কাছে শিশুটির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।