মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতা চালানো ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দেশটির সাত জন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার ওপর অবরোধ আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার এই অবরোধ আরোপ করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।

খবরে বলা হয়, সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেনারেলও রয়েছেন। অবরোধের আওতায় এই সাতজনের সম্পদ জব্দ করা হবে। তারা ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এছাড়া মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো সেনা অভিযানকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে অ্যাখা দিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। এই নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। যারা নিদারুন দুর্দশার মধ্যে দিন পার করছে। যদিও মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী সব ধরনের হত্যা, ধর্ষণ ও অপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মং মং সোয়ে’র বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। ইইউ এক বিবৃতিতে বলেছে, রাখাইনে বর্বরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সোয়ে দায়ী। কারণ তখন তিনি পশ্চিমাঞ্চলে কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন। অষ্টম নিরাপত্তা পুলিশ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার থান্ট জিন ও- এর ওপর ইইউ অবরোধ আরোপ করেছে। রোহিঙ্গাদের হত্যা ও ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাকে ইইউ দায়ী করেছে। বাকি পাঁচ জনের সবাই সেনাবাহিনীর জেনারেল পদমর্যদার কর্মকর্তা।