রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন মিসরীয় ফুটবল তারকা মোহাম্মদ সালাহ। তবে এ নিয়ে প্রশংসার চেয়ে সমালোচনাই বেশি শুনতে হতে পারে সালাহকে।

বিশ্বকাপের আগে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন ‘ইজিপশিয়ান কিং’ সালাহ। বিশ্বকাপে অনুশীলনের জন্য চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের রাজধানী গ্রোজনিতে বেস ক্যাম্প করেছিল মিসর। এর মধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে মিসরের। সালাহদের তাই গতকাল শুক্রবার বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ। এরপরই সালাহকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কাদিরভ।

শুক্রবার বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে চেচনিয়ার বিতর্কিত নেতা রমজান কাদিরভ। এরপরই সালাহকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কাদিরভ।

রাশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া চেচনিয়া নব্বইয়ের দশকে দুই বার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। ২০০৪ সালে সেই চেচনিয়ার দায়িত্ব নেওয়ার পর অতিরক্ষণাত্মক নিয়মকানুন জারি করেন কাদিরভ। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বন্ধ করতে সামরিক বাহিনীকেও ব্যবহারের অভিযোগ আছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা তো আছেই।

আর সেই চেচনিয়াতে তাবু খাটানোতে সমালোচনার মুখে পড়ে মিসর ও ফিফা। সালাহ নিজে কাদিরভকে তাদের ক্যাম্প ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন। এর ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সমালোচনার মুখে পড়েন সালাহ।

তবে শুক্রবার বিদায়ী সংবর্ধনায় কাদিরভ বলেন, সালাহ এখন চেচনিয়ার একজন সম্মানিত নাগরিক। আজ (কাল) রাতে আমি তাকে এই সম্মান জানিয়ে ফরমান জারি করছি।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নৈশভোজে এ ঘোষণার পর সালাহকে চেচনিয়ার পতাকাযুক্ত একটি মর্যাদাপূর্ণ ব্যাজও পরিয়ে দিয়েছেন কাদিরভ। সেই সঙ্গে একটি রুপার স্মারক ও চেচনিয়ার ফুটবল দল এফসি আখমত গ্রোজনির একটি জার্সিও দেওয়া হয়েছে। কাদিরভের পিতার স্মরণেই এ ক্লাবের নামকরণ করা হয়েছিল।

মিসর দলের মুখপাত্র এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।