জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ মার্চ ৪, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 415 বার
পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল সংবাদ সম্মেলন করলেন মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
বিচারক বদল করে জামিন পাওয়ার পর বুধবার দুপুর সারে ১১টায় পিরোজপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আউয়াল দলের জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘গত মঙ্গলবার দুদকের মামলায় আমার জামিন নামঞ্জুর করতে বিচারক মো. আব্দুল মান্নানকে প্রভাবিত করেছেন মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম’।
তিনি আরো অভিযোগ করেন মন্ত্রী তার প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে নতুন ও জামায়াত-বিএনপিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী তার ভাইদের অনৈতিকভাবে কয়েক শ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে দিয়েছেন’।
সাবেক সংসদ সদস্যা আরো অভিযোগ করেন, ‘মন্ত্রীর ভাই শাহীনও শামীম আলোচিত জি কে শামীমের কাছ থেকে তিনটি গাড়ি উপঢৌকন হিসেবে নিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ দিয়েছেন’।
সাবেক সাংসদ মন্ত্রী রেজাউল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী রেজাউল ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। সেই হিসাবে ১৯৭১ সালে তার বয়স নয় বছর। একজন বাচ্চা কীভাবে সে সময় মুক্তিযুদ্ধে যায় ? মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এহেন মিথ্যাচার ও নিজেকে স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা সঠিক নয়। এর জন্য তার জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
তিনি তার বক্তব্যে আরো অভিযোগ করেন, মন্ত্রী বিভিন্ন সময় নিজেকে খুলনা বিএল কলেজের ভিপি দাবি করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
তবে এ বিষয়ে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, তার এবং তার ভাইদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার তিন ঘণ্টা পরই জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নানকে বদলি করা হয়। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুবার পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন আউয়াল।
মঙ্গলবার তিনি তিনটি মামলায় ও তার স্ত্রী লায়লা একটি মামলায় পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিচারক মো. আবদুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ আদেশের পর আউয়াল ও লায়লার আইনজীবী আদালতে তাদের অসুস্থতার চিকিৎসা প্রতিবেদনসহ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা ও ডিভিশন দেওয়ার আবেদন করেন। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বিচারক ডিভিশনসহ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য কারা কর্র্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এরপর বেলা সোয়া ৩টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নানকে বদলি করা হয়। পরে বিকেলে যুগ্ম জেলা জজ নাহিদ নাসরিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন জেলা ও দায়রা জজ।
Leave a Reply