জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ মার্চ ৪, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 330 বার
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মো. আবদুল মান্নান।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দেওয়া ওই আদেশের ঘণ্টাখানেক পর বিচারক আবদুল মান্নানকে বদলি করা হয়।
বিচারক মো. আবদুল মান্নানকে তাৎক্ষণিক বদলি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খান পান্না।
এই আইনজীবী বলেন, ‘সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে মামলা করেছে, তাতে কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স না থাকায় আমরা জামিনের আবেদন করি। জেলা ও দায়রা জজ সম্ভবত আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে জামিনের আবেদন নাকচ করে।’
শহিদুল হক আরও বলেন, ‘কিছু পরেই আমরা জানতে পারি, জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মান্নানের স্থলে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ হয়েছেন দ্বিতীয় যুগ্ম জজ নাহিদ নাসরিন। এরপর সব আইনজীবীরা পুনরায় তার আদালতে জামিনের আবেদন করেন। ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন শুনানি শেষে এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের দুই মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।’
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মুনসুর উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শুনেছি জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নানকে আইন মন্ত্রণালয় আজই বদলি করেছে। এরপর যুগ্ম জেলা জজ নাহিদ নাসরিন দায়িত্ব পেয়েছেন। এ ছাড়া আর কোনো বিচারক বর্তমানে জেলায় নেই, যিনি দায়িত্ব বুঝে নিতে পারবেন।’
দুদকের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের নেওয়া জামিনের শেষ দিনে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন আউয়াল দম্পতি। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় মুহূর্তেই আদালত পাড়াসহ পুরো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ আদালত পাড়াসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠিপেটা করে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পিরোজপুর শহরসহ জেলার নাজিরপুর, মঠবাড়িয়ায় সব দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ উপজেলা) আসনের সাবেক এমপি এবং পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুটিতে কেবল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলারই বাদী হয়েছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর।
Leave a Reply