প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মূদ্রায় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকলেও নিজ দেশের এয়ারপোর্টেই তারা নূন্যতম সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত। একজন প্রবাসী বিদেশে রক্ত ঘাম ঝরিয়ে দেশে আসে একটু শান্তির জন্য, কিন্তু এখানে এসেও তার বোঝাটা মাথায় নিয়ে হেঁটে এয়ারপোর্ট এলাকা পার হতে হয়।

বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই প্রবাসীরা পড়েন সিএনজি ও মাইক্রোবাস সিন্ডিকেটের কবলে। মনিটরিং না থাকায় তারা সিন্ডিকেট করে প্রবাসীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও অনিয়ম রোধে কোন ব্যাবস্থা নেয় না বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আমাদের দেশে এয়ারপোর্টের বাহিরে বাস বা ট্রেন পর্যন্ত যেতে নির্দিষ্ট কোন বাহনের ব্যবস্থা নেই, বিশ্বের প্রায় অনেক দেশেই এয়ারপোর্টে বাস বা ট্রেন স্টেশন আছে, সরকার এই দিকে একটু নজর দিলে কোন প্রবাসীকে হয়তো আর কষ্টের সম্মুখীন হতে হতো না।এয়ারপোর্ট থেকে নিজেদের মালামাল নিয়ে বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন পর্যন্ত যেতে প্রবাসীদেরকে বহু হয়রানির সম্মুক্ষীন হতে হয়। নিজেদের মালামাল মাথায় নিয়ে বহু কষ্টে ওভারব্রীজ পার হতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এয়ারপোর্টের সামনের রাস্তা পার হতে হয় নিজেদের মালামাল নিয়ে। প্রায়ই সময় মালামাল রাস্তা পার করা নিয়ে কুলিদের সাথে বচসা হয় বিদেশ ফেরত প্রবাসী যাত্রীদের। খোয়া যায় লাগেজপত্র ।
পৃথিবীর বহুদেশের এয়ারপোর্টে রয়েছে চলন্ত সিড়ি, চলন্ত রাস্তা।যাত্রীরা এসব চলন্ত সিঁড়ি অথবা চলন্ত রাস্তা দিয়ে নিজেদের মালামাল নিয়ে নির্দিষ্ট সাথে পৌঁছাতে পারে ঝামেলা ছাড়াই।
বিদেশ ফেরত যাত্রীদের নিরাপদে এয়ারপোর্টের বাহিরে বিমান বন্দর ট্রেন ষ্টেশন অথবা বাস ষ্টেশন পর্যন্ত নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর যজন্য অবিলম্বে এয়ারপোর্ট টার্মিনাল থেকে টানেল নির্মান করে টানেলের মধ্য চলন্ত রাস্তা নির্মান করলে বিদেশ ফেরত প্রবাসী অথবা বিদেশগামী যাত্রীদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে সরকার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হবেনা রেমিটেন্স যোদ্ধাদের।