ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হারিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদ। সম্প্রতি হ্যাকড হয়েছে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁর অ্যাকাউন্টটি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা।

গত বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই নওশাবা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিতে লগইন করতে পারছিলেন না। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে অবহিত করেন তিনি। নওশাবা জানান, যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।

কদিন আগে নওশাবার নামে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি নকল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে তাঁর পরিচিতজন ও বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হতে চেষ্টা করা হয়। বন্ধুদের মধ্যে কয়েকজন বিষয়টি নওশাবাকে অবহিত করলে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সবাইকে সতর্ক করেন। তারপরই হঠাৎ তাঁর অ্যাকাউন্টটি বেহাত হয়ে যায়। তাঁর অ্যাকাউন্ট কেন হ্যাক করা হলো, জানতে চাইলে নওশাবা বলেন, ‘আমি বিখ্যাত কেউ নই। জীবনযুদ্ধে ধরাশায়ী একজন অভিনেত্রী। আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কার কী লাভ, জানি না।’

গত সোমবার সিরাজগঞ্জে একটি প্রতিবন্ধীদের স্কুলের যুগপূর্তি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন নওশাবা ও তাঁর পুতুলেরা। ‘যমুনা প্রতিবন্ধী স্কুল’-এর শিশুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ও তাঁর নাটকের দল টুগেদার উই ক্যান। নওশাবা বলেন, ‘নাটুয়ারপাড়া নামের ওই জায়গায় প্রতিবন্ধী শিশুর সংখ্যা অনেক। এটা একটা রহস্য। সম্ভবত সেখানকার ভৌগোলিক কোনো সমস্যার কারণে শিশুরা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে একটু নজর না দিলে এখানকার প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।’ স্কুলটির প্রশংসা করে নওশাবা বলেন, ‘আমরা একবার ত্রাণ দিতে ওই অঞ্চলে গিয়েছিলাম। তারপর থেকে তাঁদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে।’

মিডিয়ায় কাজ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হতাশা ব্যক্ত করেন নওশাবা। অনেকগুলো কাজ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। নতুন করে নাটক ও সিনেমার কাজে যুক্ত হতে চেষ্টা করেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তবে এখনো হাল ছাড়েননি। তিনি বলেন, শিগগির হয়তো কোনো ভালো কাজে আমাকে দেখতে পাবেন।’

সম্প্রতি রুনা লায়লার সুর ও সংগীত পরিচালনায় কিংবদন্তিতুল্য কণ্ঠশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খানের কণ্ঠে প্রকাশিত হয় ‘ভালোবাসা আমার পর হয়েছে’ গানটি। গানটির মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছিলেন নওশাবা। পরিচালনা করেছিলেন শাহরিয়ার পুলক। এ ছাড়া তানভীর চৌধুরী পরিচালিত ‘এসো সুসংবাদ এসো’, নানজিবা খান পরিচালিত ‘দ্য আনওয়ানটেড টুইন’, শাব্দিক শাহিন পরিচালিত ‘দ্য ন্যাকেড সোল’ স্বল্পদৈর্ঘ্যগুলোতে কাজ করেছিলেন তিনি।

নওশাবার পরিচালনায় পুতুলনাট্য ‘মুক্তি আলোয় আলোয়’-এ কাজ করেন সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডে (সিআরপি) চিকিৎসা পাওয়া পক্ষাঘাতগ্রস্ত শিল্পীরা। এ ছাড়া অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের ধারাবাহিক ‘একেন বাবুর ঢাকা রহস্য’তে মেহেরুন্নেসা চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। আগেও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করে সবার দৃষ্টি কেড়েছিলেন নওশাবা। এর আগে এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’য় সীতা, মিজানুর রহমান লাবুর ‘৯৯ ম্যানশন’ ছবিতে একজন প্রকৌশলী, ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নোঙর’ ছবিতে অনাথ এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। নানা কারণে মুক্তির স্বাদ পায়নি ছবিগুলো।