অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। এই রান করতে পারলেই জুনিয়র টাইগারদের হাতে উঠবে স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি।

পচেফস্ট্রুমে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে বোলাররা তাদের কাজটা সেরেছেন দারুণভাবেই। শরিফুল-রাকিবুলরা ৪৭.২ ওভারে ভারতকে গুটিয়ে দিয়েছেন ১৭৭ রানে। বাকি দায়িত্ব এখন টাইগার ব্যাটসম্যানদের কাঁধে।

শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন জুনিয়র টাইগাররা। উইকেট থেকে বাউন্স, মুভমেন্ট পেয়ে কাজে লাগান দারুণভাবে। বোতলবন্দী করে রাখেন দলটির টপঅর্ডারকে। ২২ গজে মূল ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই ধুঁকলেও একদমই আলাদা ছিলেন যশভি জয়সাল। এ বাঁহাতি ওপেনার খেলেন ৮৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। ১২১ বল খেলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।

সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন জয়সাল। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪০তম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে। পরের বলেই সিদ্দেশ ভিরকে এলবিডব্লিউ করে এ বাঁহাতি পেসার জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। স্লগের শুরুতে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি ভারত। ১৬ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

ফাইনাল ম্যাচের শুরুতে ধুঁকলেও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয় ভারতীয়রা। শতরান পেরিয়ে যাওয়ার পর দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তিলক ভার্মাকে ফিরিয়ে ৯৪ রানের জুটি ভেঙেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। পরে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক প্রিয়াম গার্গকে (৭) তামিমের ক্যাচ বানান রাকিবুল।

৬.৪ ওভারে ৯ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটি নির্বিঘ্নেই ছুঁয়ে ফেলে তিনঅঙ্ক। ডানহাতি পেসার সাকিবের শর্ট বলে পুল করেছিলেন তিলক। ডিপ মিডউইকেটে সীমানা দড়ির কাছ থেকে লাফিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শরিফুল। তিলক ৩৮ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত কেনো, আকবর আলীর দল সেটির প্রমাণ দেয় শুরুতেই। মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার দিব্যনাস সাক্সেনা। এ বাঁহাতিকে ফেরান পেসার অভিষেক দাস। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দিব্যনাস। ভারতের সংগ্রহ তখন ৯ রান।

শুরুর মতোই শেষটা করেছে বাংলাদেশ। রীতিমতো ডট বলের মহড়া দিয়ে গেছেন বোলাররা। ২৮৪ ডেলিভারির মধ্যে ১৬৯টি ছিল ডট বল। তাতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের অল্পতে আটকে রাখা গেছে। টাইগার ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠলে মিশন শতভাগ সফল হয়ে যায়।

অভিষেক নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট। শরিফুল ও সাকিব নেন দুটি করে উইকেট। রাকিবুল নেন একটি উইকেট। ভারতীয় দুই ব্যাটসম্যান হন রানআউট।