সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে সিলেট তাবলীগের দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানের কারণে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাদ পন্থীরা দোয়া মাহফিলের জন্য মৌখিক অনুমতি নিয়ে জেলা ইজতেমা করার পাঁয়তারা করলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন জুবায়ের অনুসারীরা। এতে তৈরি হয় দ্বন্দ্ব। দেখা দেয় উত্তেজনা।

এদিকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। দক্ষিণ সুরমা এলাকাস্থ তাবলীগের মাঠের আশপাশ, চন্ডিপুলসহ নগরীর মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ইজতেমা মাঠের পাশে উপস্থিত আছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, ডিসি (দক্ষিণ) সুহেল রেজা, ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, এডিসি দক্ষিণ, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিয়া, দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল।

এর আগে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুপক্ষের উত্তেজনা প্রশমিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হলেও কোনো সমাধান আসেনি বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশের একজন কর্মকর্তা।

এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, সকালে খুজারখলায় মার্কাজে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হলেও কোনো সমাধান আসেনি। তবে এখন আপাতত সমাধানের পথে। যারা দোয়ার জন্য অনুমতি নিয়েছিলেন তারা ইজতেমার মাঠে রান্নাবান্না করে খাওয়া-দাওয়া করছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় এখন একটি পর্যায়ে এসেছে।

তিনি বলেন, ইজতেমা মূলত ৩ দিন হয়। কিন্তু তারা দোয়ার জন্য মাত্র একদিনের অনুমতি নিয়েছিল। এমতাবস্থায় অপর পক্ষ ইজতেমা ভেবে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এখন আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে এসেছে।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে সাদ বিরোধীরা দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল পয়েন্টে একত্রিত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় সাদপন্থীরা বদিকোনা থেকে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলযোগে মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকায়। এতে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক উভয় পক্ষকে শান্ত করে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ায়। তবে এখনও পরিবেশ পুরোপুরি শান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।উৎস- জাগরন