অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নারী এককে শিরোপা জয় করলেন যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া কেনিন। এর ফলে তিনি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয় করলেন।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রড লেভার অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের প্রথম সেটে স্পেনের গারবিয়ে মুগুরুজার বিপক্ষে ৬-৪ গেমে হেরে যান কেনিন।

দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান কেনিন। তিনি একপেশেভাবে ৬-২ গেমে সেট জিতে নিয়ে ফাইনাল ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। শেষ সেটেও কেনিন তার আধিপত্য বজায় রাখেন।
৫-২ গেমে জিতে নিয়ে শেষ হাসি হাসেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি।

স্পেনের গারবিনে মুগুরুজা ও যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া কেনিনের ছিলেন এবারের আসরের দুই চমক। বলা যায় এটি ছিল অপ্রত্যাশিত ফাইনাল। এটাই কেনিনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল।

মার্কিন চমক কেনিন খাঁটি রুশ পরিবারের সন্তান। তার জন্ম মস্কোয়। ১৯৮৭ সালে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে শূন্য হাতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পাড়ি জমিয়েছিলেন কেনিনের বাবা আলেক্সান্ডার ও মা লেনা। যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হতে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। কেনিনের বাবা রাতে ট্যাক্সি চালাতেন আর দিনে ইংরেজি ভাষা ও কম্পিউটার শিখতেন। তবু পায়ের নিচে মাটি খুঁজে না পেয়ে ১৯৯৮ সালে কেনিনের জন্মের ঠিক আগে রাশিয়ায় ফিরে আসেন তিনি। পরে ছোট্ট কেনিনকে নিয়ে আবার পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। পুতুলের বদলে শৈশবেই মেয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন টেনিস র‌্যাকেট।

আন্তর্জাতিক টেনিসে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করলেও ২৬ বছর বয়সী মুগুরুজার শেকড় ভেনেজুয়েলায়। তার ঝুলিতে দুটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা রয়েছে। ২০১৭ সালে উইম্বলডন জিতে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসার পর চোট ও বাজে ফর্ম মিলিয়ে হারিয়ে যেতে বসেছিলেন এই স্প্যানিশ তারকা।

২০১৯ সালের শেষ ছয় মাসে জিতেছিলেন মাত্র একটি ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলছেন অবাছাই হিসেবে। প্রথম রাউন্ডের প্রথম সেট ০-৬ গেমে হারার পর আচমকা বদলে যায় ছবিটা। একের পর এক রূপকথা লিখে মুগুরুজা উঠে এসেছিলেন ফাইনালে।