নোয়াখালী পৌর ভবনে পরপর দুটি হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে বিষ্ফোরিত বোমা দুটির পড়ে থাকা অংশ এবং পৌর ভবনের দেয়ালে রক্তের দাগ লেগে থাকতে দেখা গেলেও কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
পৌর কার্যালয়ে দূর্বৃত্তদের বোমা হামলার ঘটনায় মাইজদী শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ।
পৌরসভার নৈশ প্রহরী ইব্রাহীম খলিল জানায়, বোমার শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা পৌরসভা মসজিদের পাশ দিয়ে দেয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায়। সাংবাদিকরা সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌরসভার ভবনের ভিতরে বিস্ফোরনের স্থান থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, মধ্য রাতে বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটলেও ঘটনাস্থলে থেকে মাত্র ২শ গজ দূরে সুধারাম থানা পুলিশ। দুপুরে ওসি তদন্ত ও এসআই সাইফুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যান।
রোববার দিবাগত রাত ১২ টা ১৫ মিনিটের সময় এই হামলা চালনো হয়। যা পৌর ভবনে লাগানো সিসি ক্যামরায় ধরা পড়ে। তবে এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। গভীর রাতে বোমা বিস্ফোরনের শব্দে পৌরসভা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা ও সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পৌরসভার সিসি ক্যামরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। পৌর সভার সচিব শ্যামল দত্ত জানান, রবিবার রাতে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া হাত বোমা বিষ্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে ।
এ সময় পৌর ভবনে তিনজন নৈশ্য প্রহরি দায়িত্বরত ছিলেন। ঘটনার সময় তাদের একজন গার্ডরুমে অবস্থান করছিলেন। একজন টয়লেটে এবং একজন ভবনের পেছনে গাড়ির কাছে ছিলেন। হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসার আসেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। সকালে মেয়র ঢাকায় যাওয়ার পথে বিষয়টি জানার পর পুলিশে দেন। এ ঘটনায় পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা তারেক সদর থানায় অজ্ঞাত দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ জিডি হিসেবে গ্রহণ করে। সোমবার দুপুরে পৌর মেয়র ও মাইজদী শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খান সোহেল জানান, রোববার রাত ১২টার পরে রাস্তা হতে কে বা কারা পৌর ভবনে কয়েকটি হাত বোম নিক্ষেপ করে। রাতে পৌরসভার প্রহরী ইব্রাহীম খলিল ভবনের ভেতরে থাকলে তার কোন ক্ষতি হয়নি। তবে বোমার বিস্ফোরনে পৌরসভার কয়েকটি লাইট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কি কারনে এই হামলা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে আমরা সকালে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত পৌরসভা অফিসে হামলার ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।