শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁও বাগিচা এলাকার রেললাইন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-বিমানবন্দর রেললাইন অর্থাৎ আপ লাইনে তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন বলে ধারণ করছে পুলিশ। তবে কোন ট্রেনে তিনি কাটা পড়েন তা নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। এ সময় তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।
এটি হত্যা না দুর্ঘটনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ সুরতহালের জন্য কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
সুমন জাহিদ উত্তর শাজাহানপুর, ঝিলপাড় মসজিদ সংলগ্ন ৩১২ নং বাড়িতে থাকতেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন। তিনি বেসরকারি ব্যাংক দ্য ফারমার্স ব্যাংকে চাকরি করতেন। এর আগে তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল নাইনে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। যুদ্ধাপারাধীদের বিচারের দাবিতে রাজপথেও সোচ্চার ছিলেন তিনি।
ঢাকা রেলপথ থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, সকালে অামরা খবর পেয়ে খিলগাঁও এলাকার বাগিচায় রেললাইন থেকে দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করি। ধারনা করা হচ্ছে, তিনি ট্রেনে কাটা পড়েছেন। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে ,শহীদ বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবার। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কে বা কারা তাকে উত্তর শাজাহানপুরের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই রেললাইনের পাশে তার লাশ পাওয়ার খবর শোনা যায়। সুতরাং তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন সুমন জাহিদ। পরিবারের পক্ষ থেকে বড় ভায়েরার দাবি, ‘তাকে এর আগেও বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। দুই বছর ধরে তিনি অনেকবার হুমকি পেয়েছেন। তাই আমরা ধারণা করছি, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।