কাঁঠাল মৌসুমী ফল, কাঠাল প্রিয় মানুষরা এই ফলটির অপেক্ষায় একটি বছর অপেক্ষায় থাকেন কিন্তু এখন আর অপেক্ষায় থাকতে হবেনা। এখন কাঁঠাল পাওয়া যাবে সারাবছর। এমনি একটি কাঁঠালের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর একদল বিজ্ঞানী। দীর্ঘদিন ধরে বারি’র বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রম আর গবেষণার মাধ্যমে বারোমাসি কাঁঠালের জাত উদ্ভাবন করে তা অবমুক্ত করেছেন। এই কাঁঠালের আরো বিস্তর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যেই গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর বিজ্ঞানীরা নতুন কাঁঠালের জাত বারি-৩। এখন উদ্ভাবিত জাত সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে। এই নতুন কাঁঠালের জাতে সম্প্রসারণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি জানান এই কাঁঠালের জাত দেশের সব অঞ্চলের মাটিতেই চাষযোগ্য। এই জাত সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই তারা চাষি থেকে শুরু করে বিভিন্ন নার্সারীতে সরবরাহ করছেন যাতে করে এটি গ্রামীণ পর্যায়ে প্রান্তিক চাষিদের কাছে পৌঁছানো যায়। তিনি আরো বলেন এই বারোমাসি কাঁঠাল দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে

উল্লেখ্য যে বারি-১ একটি মৌসুমী ভিত্তিক কাঁঠালের জাত এটির হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হবে ১১৮ মেট্রিক টন যা পাওয়া যাবে বছরের মে-জুন। বারি-২ একটি অমৌসুমী ভিত্তিক কাঁঠালের জাত এটির হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হবে ৫৮ মেট্রিক টন যা পাওয়া যাবে বছরের জানু্যারী-এপ্রিল ও বারি-৩ একটি বারোমাসি কাঁঠালের জাত যা সারাবছরেই পাওয়া যাবে। এই কাঁঠালের উৎপাদন হবে ১৩৩ মেট্রিক টন।
#দেশীয় ফল উৎপাদন বৃদ্ধি হোক । আমদানি নির্ভরতা কমে আসুক। শুভ কামনায় –চাষা আলামীন জুয়েল ॥
তথ্য সূত্র : কৃ্ষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউট, গাজীপুর ॥