বাঁশখালীতে ঈদ বাজার শেষে সিএনজি টেক্সিযোগে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার এক মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। আত্মহননকারী ছাত্রী মিফতাহুল জান্নাত (১৫) বাহারছড়া ৪নং ওয়ার্ডের ইলশা গ্রামের রিকশা চালক নেজাম উদ্দিনের কন্যা বলে জানা যায়। এই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আত্মহত্যাকারী ছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলার (নং–১১ তাং– ১১/০৬/১৮খ্রি) এজহার সূত্রে জানা যায়, মিফতাহুল জান্নাত রোববার বিকালে সিএনজি টেক্সি যোগে বাহারছড়ার মোশারফ আলী মিয়াজী বাজার থেকে ঈদের কেনাকাটা করে ফিরছিল। এ সময় সিএনজি চালক কালীপুরের গুনাগরী এলাকার আবদুল আলিমের পুত্র মিনহাজ (২৭) ও তার বন্ধু বাহারছড়া ইলশা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৩০) তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দিলেও সে অপমান সইতে না পেরে গতকাল গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। বিষয়টি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত মিনহাজ ও জাহাঙ্গীরকে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।

এর আগে দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন ও ওসি সালাহ উদ্দিন হীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে ওসি সালাহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আসামি গ্রেফতারে অভিযান চালায়। তারই প্রেক্ষিতে দুই আসামিকে আটক করে সুনির্দিষ্ট মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে ।