টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা সদরের চেঙ্গী নদীর দুকূল উপচে জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, শান্তিনগর, বটতলী, কল্যাণপুর, ভাঙাব্রিজ, বাঙ্গালকাঠি, চেঙ্গীব্রিজ এলাকা, কালাডেবা ও কমলছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পানি উঠেছে খাগড়াছড়ির বাস টার্মিনাল থেকে কলেজগেট পর্যন্ত। জেলার চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।কয়েক শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে ৪ শতাধিক পরিবার।
দীঘিনালা উপজেলায় মাইনী নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষনের কারণে উপজেলার ছোটমেরুং,পাবলাখালী, শান্তিপুর, হাচিনপুর, কবাখালী, বোয়ালখালীর কয়েকটি স্কুলসহ বেশকিছু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মেরুং বাজারটিও পানিতে ডুবে গেছে।বর্তমানে উপজেলার প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি। মাইনী নদীর স্রোতে ভেসে গেছে ক্ষেতের ফসল, গোলার ধান –চাল। দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনওর নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ চলছে।
দীঘিনালা ইউএনও শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে মাইনী নদীর দুপাড়ের পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারের কাজ চলছে। এছাড়া কেন্দ্রগুলোতে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানির নিচে ডুবে গেছে মেরুং বাজার। দীঘিনালার হাচিনসনপুর, দক্ষিণ হাচিনসনপুর,পুরাতন বাজার,থানা বাজার,বড়াদামসহ প্রায় প্রতিটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জেলা সদর ও বন্যাকবলিত দীঘিনালা উপজেলা পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও বড় ধরনের পাহাড় ধসের খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়িতেও পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে। অবশ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহে মাইকিং করে সতর্ক দেয়া হয়েছে।