ইরান মার্কিন সঙ্কটকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক বাজারের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের পাশাপাশি স্বর্ণের দামও বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মূল্যবান ধাতুটির দাম বেড়ে ছয় বছরের সর্বোচ্চের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এর ছোঁয়া লেগেছে দেশের বাজারেও। ২০১৩ সালের পর প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৬০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা সহসাই প্রশমিত হওয়ার নয়। এ কারণে আগামী দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর দাম আরো বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশের বাজারে সবচেয়ে ভাল মানের স্বর্ণ (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরির দাম প্রায় ১ হাজার টাকা বেড়ে ৬০ হাজার ৩৬১ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া ২১ ক্যারেট ৫৮ হাজার ২৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৫৩ হাজার ১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হবে ৪০ হাজার ২৪১ টাকায়।

এবার স্বর্ণের বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম, আগের দাম ৯৩৩ টাকা ভরিতেই বিক্রি হবে পণ্যটি।

আজ রোববার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে জানিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ দর বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ডলারের দাম বাড়ার কারণে স্বর্ণের দাম (২২ ক্যারেট) ১ হাজার ১৬৬ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হয়েছিল ৫৯ হাজার ১৯৫ টাকা করে। সেসময় ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দর ছিল ৫৬ হাজার ৮৬২ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের ৫১ হাজার ৮৪৬ টাকা।

মার্কিন হামলায় কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর পরপরই অস্থির হতে শুরু করে মূল্যবান ধাতুর বাজার। সর্বশেষ কার্যদিবসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের স্পটমূল্য আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে যায়। এ সময় প্রতি আউন্স স্বর্ণের স্পটমূল্য দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৫৩ ডলার ৫২ সেন্টে। বিগত ছয় বছরের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চে উঠেছিল। ইরান ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজনার জের ধরে এদিন মূল্যবান ধাতুটির স্পটমূল্য ছয় বছরের সর্বোচ্চের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এদিন স্বর্ণের স্পটমূল্য ১৮ শতাংশ বেশি ছিল।