প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সরকার। তবে তহবিল সংকটের কারণে তারা সঠিকভাবে এ কার্যক্রম চালাতে পারছে না বলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহ্তাব জাবিন। তাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সরকারি ফান্ড এ ব্যাংকে আমানত হিসেবে রাখার জন্য সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহ্তাব জাবিনকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানান। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের তহবিল সংকটের বিষয়ে ব্যাংকটির এমডির উদ্দেশ্যে মো. আসাদুল ইসলাম ওই চিঠিতে বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সরকারি ফান্ড যথা এডিপির আওতায় সরকার থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন তহবিল এবং সরকারি, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার মোট নিজস্ব তহবিলের অর্থ প্রবাসীয় কল্যাণ ব্যাংকে আমানত হিসেবে রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।’ ব্যাংকের এমডিকে এ বিষয়ে প্রবসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠিয়ে এর অনুলিপি অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেও পাঠাতে বলা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তারা ঋণ বিতরণ করেছে ৩৪ কোটি টাকা, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ শতাংশ। এর আগের বছর একই সময়ে ব্যাংকটি ঋণ বিতরণ করে ১৮ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ৪০০ বিদেশগামী কর্মীকে অভিবাসন ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি। ব্যাংকটি মাত্র তিন দিনে অভিবাসন ঋণ মঞ্জুর করে। এ ছাড়া বিদেশফেরত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মীকে পুনর্বাসন ঋণ দেয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহায়তা করেছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরে ৬৩টি শাখার মাধ্যমে এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সব জেলায় ব্যাংকের শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।