বরগুনার আমতলীর ইউএনও মনিরা পারভীনের হস্তক্ষেপে চতুর্থ শ্রেণির স্কুলী ছাত্রী হনুফা আক্তারের (১১) বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে ।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া গ্রামের বজলু সরদারের কন্যা হনুফা পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। হনুফার বাবা-মা শুক্রবার রাতে একই গ্রামের ফুফাত ভাই গার্মেন্টস কর্মী দেলোয়ারের সঙ্গে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন। বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে আমতলীর ইউএনও মনিরা পারভীন হনুফার বাড়িতে উপস্থিত হয়। ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে বর পক্ষ পালিয়ে যায়। পরে ইউএনও হনুফার বাবা-মাকে ডেকে বাল্য বিয়ের কুফল বুঝিয়ে বলেন। পরে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে কন্যাকে আর বাল্য বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা দেন। বন্ধ হয়ে যায় হনুফার বাল্য বিয়ে।

হনুফার মা পারুল বেগম বলেন, মুই বোঝতে পারি নায়। ইউএনও ছারে আওয়ার পর মুই বুঝজি। মুই মোর মাইয়্যারে আর বাল্য বিয়ে দিমু না। মোর মাইয়্যারে মুই ল্যাহাপড়া হরামু।

স্কুল ছাত্রী হনুফা বলেন, আমি লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে মানব কল্যাণে কাজ করবো। লেখাপড়া শেষে উপযুক্ত বয়সে বিয়ের সিঁড়িকে পা দেব।

আমতলীর ইউএনও মনিরা পারভীন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। মেয়েকে আর বাল্য বিয়ে দেবে না মর্মে বাবা-মাকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছি।