বিদেশ | তারিখঃ ডিসেম্বর ১২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 518 বার
যুক্তরাজ্যে ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে, রাত দশটা পর্যন্ত। বেক্সিট ইস্যুতে টালমাটাল দেশটিতে গেল পাঁচ বছরে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় নির্বাচন হচ্ছে।
একশ বছর পর ডিসেম্বরে ভোট চলছে। ৬৫০ আসনের জন্য লড়ছেন ৩ হাজার ৩২২ প্রার্থী।
২৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত যারা নিবন্ধন করেছেন তারাই ভোট দিতে পারবেন আজ। আর যারা পোস্টাল ভোট দিতে চেয়েছেন তাদেরকেও ২৬ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে নিবন্ধন করতে হয়েছে। যারা করেছেন তাদের ভোট রাত ১০টার মধ্যে গ্রহণ করা হবে। যারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন তাদের সকাল ৭টা থেকে ১০ টার মধ্যে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।
একজনের ভোট আরেকজন দেয়ার জন্য ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে জানাতে হয়েছে। রাত ১০টায় বুথ ফেরত জরিপের ফল জানা যাবে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোটের ফলাফল জানা যাবে।
এবার ১০ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রার্থী থাকলেও বেশি আলোচনায় আছেন বর্তমান এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, রুপা হক ও রুশনারা আলী। তাদের সঙ্গে মাঠে নেমেছেন, বাংলাদেশি অধুষ্যিত পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইম আসনের আফসানা বেগম।
ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে লেবার নেতা জেরেমি করবিনের দলের।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইইউ ছাড়লে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ বা টোরি দল সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে। তবে আশা ছাড়ছে না লেবার পার্টিও। কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আশঙ্কাও আছে। খবর দ্য টেলিগ্রাফ ও ডেইলি মেইল।
টোরিদের বড়ো জয়ের অর্থ ‘ব্রেক্সিট’
২০১৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আগাম নির্বাচন দিয়েছিলেন। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ডিইউপি টোরি দলকে ব্রেক্সিটে পুরোপুরি সমর্থন দেয়নি। ফলে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনে ৩২৬ আসনে জয় পেতে হবে। টোরি দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে। আর না পেলে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ শঙ্কার মধ্যে পড়বে।
ঝুলন্ত পার্লামেন্ট
কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হবে। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হয় পদত্যাগ করতে হবে না হয় জোট সরকার গঠনের চেষ্টা চালাতে হবে। তবে এই সরকার গঠন বরিসের জন্য কঠিন হবে। কারণ এরই মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটস পার্টির নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা টোরি কিংবা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে জোট করবেন না। লেবার পার্টি সরকার গঠনের চেষ্টা চালাবে। সেক্ষেত্রেও সমস্যা আছে। লিব ডেম নেতা জো সুইনসন বলেছেন, তারা লেবার পার্টির সঙ্গে জোট করতে রাজি, তবে নেতা জেরেমি করবিনকে সরে দাঁড়াতে হবে। যদি তিনি পদত্যাগ না করেন তাহলে তিনি ছোট দল প্লেইড সিমরু, দ্য গ্রিনস এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে জোট করতে পারেন। এজন্য স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় গণভোটের আয়োজনকে মেনে নিতে হবে করবিনকে। লেবার পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ইইউতেই থেকে যাবে ব্রিটেন। করবিন এই ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোট করবেন বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply