কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানো ও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় দায়ের মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বেসরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের করা এই মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ওসমান গনি এ আদেশ দেন।সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ওসমান গণির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রনি। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দাবিকৃত ২০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গত ৩১ মার্চ চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহেদ খানকে তার কার্যালয়ে মারধর করেন রনি।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউসন) কাজী সাহাবুদ্দীন আহমেদ জানান, চাঁদা না পেয়ে মারধরের অভিযোগ এনে গত ৩ এপ্রিল নগরের চকবাজার থানায় রনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহেদ খান। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন রনি।

তিনি আরও জানান, জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সোমবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে ফের জামিন চান রনি। আদালত এ আবেদন নাকচ করে তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, নগরীর চকবাজার এলাকার মতি টাওয়ার নামের একটি ভবনের পঞ্চম তলায় বিজ্ঞান কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওই ভবনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বিপণিকেন্দ্র।

এবছরের এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপথ সংগ্রহ করতে গেলে পাঁচ হাজার টাকা করে উন্নয়ন ফি দাবি করা হয় বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

৩১ মার্চ বিজ্ঞান কলেজে অভিভাবকদের অবস্থানের মধ্যেই সামনে সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে খবর পেয়ে নিজ অনুসারীদের নিয়ে সেখানে যান রনি।

ওইদিন ‘উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে জাহেদ খানকে চেম্বারে প্রবেশ করানোর এক পর্যায়ে তার শরীরে আঘাত’ করার কথা স্বীকার করে পরে এক বিবৃতিতে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন রনি।

৩১ মার্চের ওই ঘটনার পর সে রাতে নগরীর চকবাজার থানায় বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন রনি।

এরপর ৪ এপ্রিল রাতে চকবাজার থানায় ছাত্রলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেন জাহেদ খান।

নগর ছাত্রলীগ নেতা রনি গত কয়েক বছর ধরেই নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ধিত বেতন-ফি বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার আন্দোলনের কারণে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেতন ফি কমানো ও আদায় করা বর্ধিত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছিল।