প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই ল্যাটিন দল আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। কিন্তু প্রতিবেশী দুই দলের আগ্রাসী মনোভাবে শেষ পর্যন্ত আর প্রীতি থাকেনি। হাতাহাতি পর্যন্তও হয়েছে। উত্তেজনাপূর্ণ এ ম্যাচটি অবশ্য শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে। ২-২ গোলের সমতা নিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলদুটি। মূলত অধিনায়ক লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে হার এড়ায় আর্জেন্টিনা। গোল করার পাশাপাশি একটি গোলও করিয়েছেন তিনি।

সোমবার তেলআবিবে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে আর্জেন্টিনা। কিন্তু দুই দুইবার পিছিয়ে পড়ে দলটি। তবে দুইবারই দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে লিওনেল মেসির পেনাল্টি গোলে সমতাসূচক গোল পায় দলটি। এছাড়া গোল পেয়েছেন সের্জিও আগুয়েরোও। উরুগুয়ের হয়ে গোল দুটি করেছেন দলের সেরা দুই তারকা এদিসন কাভানি ও লুইস সুয়ারেজ।

এদিন ৬৬ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল আর্জেন্টিনা। দারুণ কিছু আক্রমণও করেছিল দলটি। বারপোস্টে মোট শট ছিল ১৬টি। তার ছয়টি লক্ষ্যে। কিন্তু গোল পায় দুইটি। অন্যদিকে পাঁচটি শটের মধ্যে দুটি লক্ষ্যে রেখে সে দুটি থেকেই গোল আদায় করে নেয় উরুগুয়ে।

ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে ধারা বিপরীতে গোল পেয়ে যায় উরুগুয়ে। এদিসন কাভানির গোলে এগিয়ে যায় দলটি। লুকাস তোরেইরার ক্রস ধরে গোল মুখে বল ঠেলে দেন লুইস সুয়ারেজ। আলতো টোকায় বল জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি কাভানি। পাঁচ মিনিট বল জালে জড়িয়েছিলেন পাওলো দিবালা। তবে শট নেওয়ার আগে হাতে লাগলে বাতিল হয় সে গোল।

৬৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রিকিক থেকে মেসির নেওয়া ক্রসে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন সের্জিও আগুয়েরো। তবে ছয় মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে সুয়ারেজকে ফাউল করলে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রিকিক পায় উরুগুয়ে। নিজেই শট নেন সুয়ারেজ। এ বার্সা তারকার দারুণ শট আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের হাতে লেগে বল জালে জড়ায়।

ম্যাচের যোগ করা সময়ে ফের সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। স্পটকিক থেকে গোল আদায় করে নেন মেসি। ডি-বক্সের মধ্যে মার্তিন কেরেরেসের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ফলে ড্রয়ের সন্তুষ্টি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে হারের পর এ নিয়ে টানা সপ্তম ম্যাচে অপরাজিত থাকল দলটি