নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি বলেছেন,

আমি যাদেরকেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছি তারাই আমার ক্ষতি করেছে বার বার। কারণ আমি ঘুষ, দুর্নীতি, মদ, জুয়া, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং, ট্যান্ডারবাজি ইত্যাতির বিরুদ্ধে ছিলাম। এ কারণে কিছু নেতার অসুবিধা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নেত্রীর কাছে বিষেদাগার করেছেন বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু নেত্রী কারো কথা না শুনে বার বার আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন, ৭বার নৌকা প্রতীক তিনি আমাকেই দিয়েছেন। আমি ৬ বার নির্বাচিত হয়ে তাঁর প্রতিদানও দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার ৫৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে একবার স্বল্প সময়ের জন্যে হলেও মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে কৃতিত্বের সাথে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আমার ৫৮ বছরের এই রাজনৈতিক জীবনে একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসাবে আমি তৈল মর্দন করতে পারিনি বিধায় আমার ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি কখনোই। অথচ আমার হাতে তৈরী অনেক জুনিয়র নেতাই কোটিপতি বনে গেছেন মাত্র কয়েক বছরে। যা আমি ৬ বার এমপি ১বার মন্ত্রী হয়েও করতে পারিনি।

অসংখ্যবার বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাওয়া উত্তরবঙ্গের এই প্রবীণ ও বর্ষীয়ান কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর মতোই অকুতভয়। হাজারো শত্রু থাকা সত্বেও ক্যাডার বিহীন রাজনীতি করেন তিনি। ঘুরে বেড়ান গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায়। কখনোই পুলিশ বাহিনীকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতেন না। এমন কি প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ও প্রটোকল নিতে চাইতেন না। তার কোন ভাই, ভাতিজা ছেলে, মেয়ে এমনকি আত্বীয় স্বজনকেও আশ্রয় প্রশ্রয় দেননি কখনো।