প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে পুনরায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যারা অপরাধ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। সে যে-ই হোক এবং যে দলই করুক না কেন।’

শনিবার সন্ধ্যায় আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর হিলটন হোটেলে দেশটিতে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, আজারবাইজানের দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আল্লামা সিদ্দিকী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পৃথক পৃথক সময় উল্লিখিত বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ওইসব বৈঠকে দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ড়্গেত্রে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এটা (অভিযান) চলছে। যদি আমাদের দলেরও কেউ অপরাধে জড়িত হয়, সে তৎক্ষণাৎ শাস্তি ভোগ করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অপরাধীরা অপরাধীই, আমরা অপরাধীদের অপরাধীর দৃষ্টিতেই দেখব এবং আমরা সেটাই দেখার চেষ্টা করছি। অন্যকে শিক্ষা দেওয়াটা নিজের ঘর থেকেই শুরু করা উচিত। আমি সেটাই করছি (দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ) এবং আমি এটি অব্যাহত রাখব।’

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন বলে জানান মো. আল্লামা সিদ্দিকী। শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে নৈতিক এবং বৈষয়িক সহযোগিতার জন্য আজারবাইজানকে ধন্যবাদ জানান। দুই নেতাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামীতে আজারবাইজানে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির ড়্গেত্রটি আরও প্রসারিত হবে।

ওই বৈঠকে বাংলাদেশ-আজারবাইজান সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে একটি সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ-নেপাল ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের অংশ হিসেবে প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে দুই দেশই ব্যবসা-বাণিজ্যের ড়্গেত্রে ব্যাপক সুবিধা লাভ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ, বন্দর সুবিধা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত এবং নেপাল) উদ্যোগ সম্পর্কে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটির বাস্তবায়নে ভুটানের একটি সমস্যা রয়েছে। তবে নেপাল এটির বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে।